বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বিশ্ব বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে সম্মিলিতভাবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বর্তমান অবস্থায় এসেছে। এখনও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বৈশ্বিক বাণিজ্যিক পরিবর্তিত পরিস্থিতি : আমাদের পোশাক খাত কতটুকু প্রস্তুত’ বিষয়ক এক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও দৈনিক বণিকবার্তা যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,পোশাক খাতে দেশের প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। অনেক দক্ষ জনবল বিদেশ থেকে আনতে হচ্ছে। এতে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে। তাই আমাদের দক্ষ জনবল বাড়াতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো উদ্যোগী হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিশ্ব বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী
মুনশি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে সরকার নানামূখী পদক্ষেপ নিয়েছে। বন্দরগুলোকে আধুনিকায়ন করে এর সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। তবে বাণিজ্যিক কাজে সেবার মান আরো বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
টিপু মুনশি বলেন, ২০২৪ সালের পর বিশ্ব বাণিজ্যে যে চ্যালেঞ্জ আসবে তা সরকার এবং ব্যবসায়ীদের সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
বণিকবার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক, এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. কে এ এস মোর্শেদ, হামিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।